নাটোর-৪ গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের ইন্তেকাল

মো. আব্দুস সালাম, নাটোর প্রতিনিধি, তারিখ ৩০/০৮/২৩ খ্রি.
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক  আব্দুল কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না...... রাজিউন)। আব্দুল কুদ্দুসের পৈত্রিক বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত বিলসা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জণ করেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান ও তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
গত সোমবার সন্ধ্যায় শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাঁকে নিজ বাসভবনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট নিয়ে দ্রুত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 সেখানে তার শ্বাসকষ্ট কন্ট্রোল করা কঠিন হচ্ছিলো এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিলো। যার কারণে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়ার কথা থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আব্দুল কুদ্দুস এমপি দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাষকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে রাজশাহীতে তিনিই প্রথম পাকিস্থানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
 তিনি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে টানা সাতবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মোট  পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং চলমান মেয়াদে তিনি একজন দক্ষ সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন।
বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মতো নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা মন্ত্রণলায় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বর্তমান মেয়াদে নিযুক্ত ছিলেন। তার আমলে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম এলাকায় রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
তার পারিবারিক সুত্রে আরও জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার তার নিজ জেলাা নাটোর এবং নির্বাচনী এলাকা বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুরে জানাজা শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে।
তার মুত্যুতে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী শোক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।


Comments

Popular posts from this blog

ICESCO Launches Fully Funded Young Professionals Programme 2025/2027

Slumdog to Billionaire: Jahid Jubair's Astonishing Journey Unveiled in "A Book of Top Secret"